এ কে সোহেলঃ

সমাজে আমার খ্যাতি রয়েছে। আমি একজন প্রতিষ্ঠিত পর্যটন ব্যবসায়ী। কারো সাথে আমার কোন বিরোধ ছিলোনা এবং নেই। কিন্তু কিছু হিংসুটে মানুষ আমার উত্থানকে সহ্য করতে না পেরে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে।'

এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন সরকারি নিবন্ধনভুক্ত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কক্সবাজার বীচ ঝিনুক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির টানা  তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি মো: রুবেল।  

তিনি বলেন, আমি একজন পর্যটন ব্যবসায়ী। দলমত নির্বিশেষে সবার সাথে আমার একটি ভালো সম্পর্ক। কিন্তু স্থানীয় কিছু পত্রিকা ও মাল্টিমিডিয়া চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া সংবাদ করাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।   

তিনি বলেন, আমি একজন সমুদ্র-সৈকত এলাকার ক্ষুদ্র ঝিনুক ব্যবসায়ী। যে ব্যবসার সাথে আমার ২০ বছরের সম্পর্ক। আমার মতো আরো শত শত ব্যবসায়ী রয়েছে। তাদেরও আমার মতো সমিতি রয়েছে। আমরা যারা সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ব্যবসা করি- সবাই একপ্রকার বৈধ। এই ব্যবসার শৃঙ্খলা ফিরাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমার মতো শত শত ব্যবসায়ী প্রতি বছর জেলা প্রশাসনকে রাজত্ব দিয়ে ব্যবসা করছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। এখানে কেউ জেলা প্রশাসনের কার্ড ছাড়া ব্যবসা করতে পারেনা বা দোকান বসাতে পারে না। যদি কেউ দোকান বসায় তা অবৈধ। কার্ড ছাড়া অবৈধ দোকানের খবর পেলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সেটা সব ব্যবসায়ীরা জানে। এখানে যারা কার্ডধারী ব্যবসা করে তাদের অবৈধ বলার কোন সুযোগ নেই। 

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে সৈকতের বালিয়াড়িতে ব্যবসায়ীদের ওপর অনেক জুলুম-নির্যাতন হয়েছে। দোকান গুলো কয়েক দফায় উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এমপি, মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছেও গিয়েছিল সবাই। কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি। হাজার হাজার পরিবারের একমাত্র ভরসা এ-ই ঝিনুক ব্যবসা। এই ব্যবসা রক্ষা শত শত ব্যবসায়ীরা একযোগে কাজ করেছি। বিএনপি করে এমন ক্ষুদ্র দোকানদারকেও আওয়ামীলীগের মিছিলে যেতে হয়েছে। কারণ সৈকতে যারা ঝিনুকের ব্যবসা করে সবাই হকার। তাদের উপর বড় কোন ছায়া নেই। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যাঁরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা না জেনেই মনগড়া তথ্য দিচ্ছে। আমি সাধারণ ব্যবসায়ীদের সুখ-দুঃখের সারতি হয়ে কাজ করেছি। সব সময় তাদের পাশে থেখেছি। ব্যবসার খাতিরে সবাইকে সহায়তা করেছি। বর্তমানে সুগন্ধা পয়েন্টে কেউ কেউ অনৈতিক সুবিধা আদায় করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাকে সেখান থেকে বিতাড়িত করার জন্য প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার বাড়িতে পুলিশ ডিবি পাঠানো হচ্ছে। আমাকে দখলদার বানানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দলবাজি করেছি তার কোন নজির নেই। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, অবৈধ দোকান থাকলে উচ্ছেদ করুন আপনারা। সেখানে যাদের দোকান আছে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন ভাড়া দিয়েছে। কেউ দোকানে জিনিস তুলতে টাকা পাচ্ছে না আবার কেউ অসুস্থ তাই দোকান করতে পারছে না। যার কারণে অনেকেই নিজের দোকান ভাড়া দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যারা সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযোগ তুলছে তাদেরও দোকান রয়েছে কয়েকটা করে। অনেকেরই ১৫ থেকে ২০ টা পর্যন্ত দোকান রয়েছে। তারাও বিক্রি করে দিয়েছে দোকান। আবার ভাড়াও দিয়েছে। সেখানে শুধু আমার উপর চলে আসছে কেন?  

তিনি বলেন, আমি যদি কারো ক্ষতি করি অবশ্যই আমার মামলা থাকতো। শত শত অভিযোগ থাকতো। গত ২০ বছর সম্মানের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমি খারাপ হলে আমাকে তিনবার সভাপতি করতো না। আমি প্রতিবারই ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত সভাপতি। এখন আমার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কে তা সবাই জানে। মুলত কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এবং আমার ব্যবসা কেড়ে নেওয়ার জন্য একটি পক্ষ কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। 

আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ করবো- যদি সৈকত এলাকায় অবৈধ দোকান থাকে তাহলে উচ্ছেদ করুন। আইনগত ব্যবস্থা নিন। আর কারা কৌশলে বর্তমান সময় চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে আপনারা খোঁজ-খবর নিলে জানতে পারবেন। শত শত ব্যবসায়ী ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।