বার্তা পরিবেশকঃ

কক্সবাজার শহরের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গ্রুপের হয়রানি ও হুমকি থেকে নিজ সন্তানকে প্রাণে রক্ষা করতে মায়ের আকুতি জানিয়ে প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছে কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নাম্বার ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী নুর বেগম (৬৫) নামক এক বৃদ্ধ মহিলা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার সুযোগে পর্যটন জোনে দখলবাজ, চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় হয়ে নিরহ অনেক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে পায়দা হাসিল করে যাচ্ছে। এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছেলের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগকারী নুর বেগম (৬৫) বলেন,আমার ছোট সন্তান, মোঃ রুবেল দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত ক্ষুদ্র হকার হিসেবে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সুনামের সাথে শামুক ঝিনুকের ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবন যাপন করে আসছে। ক্ষুদ্র হকার হিসেবে নিয়মিত জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত বার্ষিক রাজস্ব সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করে আসছে। এতে পর্যটন শিল্প বিকাশে এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় কিছুটা হলেও অবদান রেখে আসছে। দীর্ঘদিন সুগন্ধা পয়েন্ট ব্যবসা করার সুবাদে জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত ক্ষুদ্র হকারদের সংগঠন, কক্সবাজার বীচ ঝিনুক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এমন কি আমার ছেলে একজন সফল সংগঠক হিসেবে জেলা সমবায় অধিদপ্তর থেকে টানা ৫ম বার জেলার শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসেবে জেলা সমবায় অধিদপ্তর থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের বিদায়ের পর কক্সবাজার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন নিজেকে সমিতির সভাপতি দাবি করে আমার ছেলেকে নানাভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার দিয়ে আটক করানো বাসায় অভিযান চালানোর হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এমনকি আওয়ামী লীগ দোসর বানিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছে, না দিলে সুগন্ধা পয়েন্টে ২ দোকান দাবি করে আসছে। তার চাহিদা মতো চাঁদা দিতে না পারলে আমার ছেলের সুগন্ধা পয়েন্ট অবস্থিত দোকান দখল করে নেওয়ার জন্য বার বার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। এতে ছাত্র প্রতিনিধি সমন্বয়কদের নাম ব্যবহার করে প্রতি মুহুর্তে হয়রানি করে আসছে তার কারণে আমার ছেলে পরিবার পরিজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বৃদ্ধ নুর বেগম আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুগন্ধা পয়েন্ট ক্ষুদ্র হকারদের উচ্ছেদ করা হলে তাদের রক্ষায় আমার ছেলে হকারদের সভাপতি হিসেবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতাদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার আশায় তাদের সাথে আমার ছেলেসহ প্রায় ৫/৬শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামায়াত বিএনপি, আওয়ামীলীগসহ একসাথে দেখা করতে গিয়েছিল। তখনকার কিছু ছবি ব্যবহার করে আমার ছেলেকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে বার বার ব্ল্যাকমেল করে জিন্মি করে যাচ্ছে যুবদল নেতা জয়নাল ও তার লালিত সন্ত্রাসীরা। জয়নালের আশ্রয় প্রশ্রয়ে সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট গড়ে তুলেছে একটা সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজ গ্রুপ, যাদের ভয়ে আমার ছেলে বিগত দেড় মাস ধরে নিজ এলাকা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এমনকি জয়নাল, জাকির ও গুরামিয়াসহ তার বাহিনীর সদস্যদের প্রতিনিয়ত হুমকির কারণে আমার ছেলে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এই অবস্থা আমার ছেলের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে জয়নাল ও তার বাহিনীর সদস্যরা। আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এবং তার দীর্ঘ দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষায় শেষ পর্যন্ত আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিআইজি চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ক্যাম্প কমান্ডার ঝিলংজা আর্মি ক্যাম্প, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দপ্তরে অভিযোগ করে হলেও ছেলেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন বৃদ্ধ নুর বেগম (৬৫)।