পারভেজ খানঃ

কক্সবাজারের শহরে দোকানের ভাড়া চাওয়ায় মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধের গত ০২ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১১টার দিকে শহরে জেনারেল হাসপাতাল সামনে এ ঘটনা ঘটে। দোকান ভাড়ার টাকা না দিয়ে উল্টো মালিককে মারধর করেন ভাড়াটিয়া ও তার লোকজনেরা। 

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক রুবি দাশ। এ সময় আহত হলেন- হাসপাতাল সড়ক ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুকেন্দু দাশের স্ত্রী দোকান মালিক রুবি দাশ (৬০) এবং রুবি দাশের অটোরি কশার ড্রাইভার মোঃ কামাল (২০)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন ভাড়াটিয়া ও তার লোকজন। এ সময় হামলাকারীরা হলেন- একই এলাকার ১. মোঃ নজরুল ইসলাম (৫০), পিতা-মোঃ মোজাহের, সাং- জেনারেল হাসপাতালের সামনে, হাসপাতাল সড়ক ১০নং ওয়ার্ড পৌরসভা কক্সবাজার, ২. নুর মোহাম্মদ (২৫), পিতা- মৃত ছৈয়দ আলী, সাং- রুহুল্লার ডেইল, ৬নং ওয়ার্ড, খুরুশকুল ইউপি, থানা ও জেলা কক্সবাজার, ৩. মনির আহমদ (৩০), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- মোহাজের পাড়া, ১০নং ওয়ার্ড পৌরসভা কক্সবাজার, ৪. মোঃ সৈকত (২২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- জেনারেল হাসপাতাল সড়ক, ১০নং ওয়ার্ড পৌরসভা কক্সবাজার, অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে। 

অভিযোগকারী রুবি দাশ জানান- মোঃ নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আমার মালিকানাধীন দোকানের ভাড়াটিয়া। প্রতিমাসে (বিশ হাজার) টাকা ধার্য্য করে দোকান ভাড়া দিয়েছি। সে গত ৫ মাস ধরে আমাকে কোন ভাড়া দিচ্ছে না। তার কাছ থেকে মোট দোকান ভাড়া বাবত ১,০০,০০/= (এক লক্ষ) টাকা পাই। এই টাকা আজ দেবে কাল দিবে বলে গুরাইতে তাকে আমাকে। গত ০১/১২/২০২৪ইং তারিখ মোঃ নজরুল ইসলাম দোকান বন্ধ করে বাসায় গেলে আমি উক্ত দোকানে তাহার দোকানের তালার উপর অপর একটি নতুন তালা লাগাইয়া দিই। পরের দিন অর্থাৎ গত ০২/১২/২০২৪ইং বেলা অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমাকে কিছু না বলে নজরুল এবং তার সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে আমার লাগানো তালা লোহার রড ও হাতুল দিয়া ভেঙ্গে ফেলে। তাদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের এমন কর্মকান্ডে বাধা দিলে, নজরুল ও তার সহযোগীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেছে এবং মারধর করার জন্য উদ্বাত হয় এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এই সময় আমার অটোরিকশার ড্রাইভার মোঃ কামাল হৈচৈ শুনে তাদের কবল হইতে 'আমাকে রক্ষা করার জন্য আগাইয়া গেলে নজরুল এবং তার সহযোগীরা তাহাকে মারধর করে তার সর্বশরীরে নীলা ফুলা জখম করে। এবং একই দিন রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় হাসপাতাল সড়ক থেকে কামাল কে জেনারেল হাসপাতাল সামনে খানাকা মসজিদ প্রাঙ্গনে নিয়ে গিয়ে পুনরায় মারধর করে তাহার সর্বশরীরে নীলা ফুলা জখম করে। নজরুল লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কামাল কে মাথা লক্ষ্য করে সজোরে বারি মারলে কামাল উভয় হাত দিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে বাম হাতের কনুইর উপরে পড়ে মারাত্মক হাঁড় ভাঙ্গে করে। এই সময় নজরুল আমাকে খবর দিয়া ডেকে নেয় যায় এবং আমার উপস্থিতিতে মোঃ কামাল থেকে তারা একটি খালী স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। যাহাতে মামলা মোকদ্দমা না করে। নজরুল এবং তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যে, ঘটনার বিষয়ে থানা ও কোর্টে মামলা মোকদ্দমা করলে বা দোকানের ভাড়ার বকেয়া টাকা দাবী করলে কামালকে সহ আমাকে মারিবে, কাটিবে, খুন খারাবী করিবে মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে। ঘটনার পর জখমী মোঃ কামালকে আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় অপরাপর সাক্ষীদের সহায়তায় তাহাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়া গিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। যার রেজিঃ নং- ২৮৫৭০/৭৪, তারিখ-০২/১২/২০২৪ইং। এ বিষয়ে 

অভিযোক্ত নজরুল ইসলাম জানান- আপনি এখানে এসে তদন্ত করে দেখেন। আর আমার বড় ভাই মোহাম্মদ জিন্নাহ আছে না, উনার থেকে জিজ্ঞেস করে দেখেন। আসলে আমি ওরে মারতে চাচ্ছি এমন প্রমাণ পেলে আমি এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাবো। আমি উনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আছি ষোল বছর ধরে, কেউ ভাড়া নিলে আর যদি বাকি টাকা পাই তাহলে দোকানে তালা মারা যাবে কি না? উনি আমার দোকানে তালা মারছে। সকালে যখন আমি তালা ভেগে দোকান খুলছি উনি টুকায় ছেলে এনে আমার সহকারী ডাক্তার কে মেরে হাতের হাঁড় ভেগে দিচ্ছে। এখন আমাদের ডেন্টালের একটি সমিতি আছে। ওই সমিতিতে বিচারে উনি যাবে বলছে, কিন্তু যায় নাই। ১০নং ওয়ার্ডের জব্বার ভাই সহ সবাই এইটা নিয়ে বসে সমাধান করার কথা ছিল। আমার সম্পর্কে কিছু জানতে চান তাহলে আমার বড় ভাই জিন্নাহ ভাই থেকে জিজ্ঞেস করেন। কামাল যদি কাউকে মেরে থাকে, যদি ভেঙে থাকে! এমন প্রমাণ আছে-যদি থাকে তাহলে বিচারে দেখাতে বলেন। 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, অভিযোগ টা কোন এসআই হাতে আছে আমি দেখতেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।