আবুল কালাম আজাদ:

রশিদ নগর এলাকায় বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ইয়াবা সম্রাজ্ঞী ও পতিতা চক্রের মূলহোতা হিসেবে পরিচিত আর্জিনার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল সকালে রামু থানার সামনে শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে তাকে এলাকা থেকে উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী এলাকাবাসীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নিকট অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময়, অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে আর্জিনা ও তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে নিজের বাড়িতে হামলার নাটক সাজিয়ে এলাকাবাসীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, আর্জিনার পিতা নূর মোহাম্মদ মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয়দের গালিগালাজ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে রামু উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা জনাব সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পরে, দিবাগত রাত ১:৩০টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের ভবন থেকে ফেরার পথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মাসুম, সমাজ কমিটির সভাপতি আবুল কালাম এবং এলাকার সরদার ওসমান গনির উপর হামলা চালায় আর্জিনা, তার মা আছিয়া, ভাই খোকন, বোন মুন্নী এবং আরও কয়েকজন। চেয়ারম্যানের দৃঢ় ভূমিকার কারণে বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়।

এ ঘটনার পর, একই দিনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানার সামনে একটি কম্পিউটার দোকানে অভিযোগ লেখার সময় স্থানীয় যুবক রিয়াজ উদ্দিনের উপর অতর্কিতভাবে জুতা দিয়ে আঘাত করে আর্জিনার বোন মুন্নী, মা আছিয়া এবং খালা। পুলিশ কনস্টেবল ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে ওসিকে অবহিত করা হলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মাসুম বলেন, "আমার কঠোর অবস্থানের কারণেই সেদিনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।"
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আর্জিনার পুরো পরিবারই মাদক ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত। তার ভাই খোকন বিদেশে নারী পাচারে জড়িত, মা আছিয়া ও বোন মুন্নী পৃথকভাবে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

তারা আরও জানান, কিছু তথাকথিত সাংবাদিক ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের সহায়তায় আর্জিনা এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতীতে আর্জিনা ও তার সহযোগীরা নারী সংক্রান্ত মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা ও দামি জিনিস জিম্মি করে নিয়েছে। এসব ভুক্তভোগীদের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের আবেদন জানানো হয়েছে।