আবুল কালাম আজাদ:
কক্সবাজারের রশিদ নগরের লম্বাঘোনা ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত আর্জিনা স্থানীয়ভাবে ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ নামে কুখ্যাত। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবার ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগের শেষ নেই এলাকাবাসীর।
জানা যায়, প্রায় সাত বছর আগে উল্টাখালি উত্তর পাড়া থেকে পরিবারসহ লম্বাঘোনায় বসবাস শুরু করেন আর্জিনা। তার পিতার নাম নুর মোহাম্মদ এবং স্বামীর নাম মিনহাজ হলেও স্থানীয়দের দাবি, তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক বৈধ নয়। আর্জিনা তার কথিত স্বামী মিনহাজকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আর্জিনার বাড়িতে প্রতিনিয়তই বসে মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আড্ডা। বাসায় ৪-৫ জন অল্পবয়সী অবিবাহিত মেয়ে রেখে নারী সরবরাহ ও সময়ভিত্তিক রুম ভাড়ার মাধ্যমে চালানো হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। অনেক সময় খদ্দেরের সঙ্গে চুক্তি করে এসব মেয়েদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগও উঠেছে। এছাড়াও মোবাইলফোন ও দামী সামগ্রী আত্মসাৎ করে সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দিনমজুর থেকে শুরু করে কলেজপড়ুয়া ছাত্র ও বেকার মধ্যবয়সী মানুষের ভিড়ে সবসময় মুখর থাকে আর্জিনার বাড়ি। এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে আর্জিনাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড প্রদান ও জেল-হাজতে প্রেরণ করে। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, কেউ তার কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ করলে বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন তিনি। এসব কারণে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে চরমভাবে অতিষ্ঠ। একপর্যায়ে তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আর্জিনার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
রশিদনগরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মাসুম বলেন, “এই মহিলার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ বহু পুরনো। তাকে সতর্ক করার পরও সে সংশোধন হয়নি। ফলে আমি স্থানীয়দের প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমন সাহেব বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
0 Comments